প্রমথ মজুমদার, কাশিয়ানী প্রতিনিধি: দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্তরের আইসিটিবিষয়ক শিক্ষাদানের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠা করেন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।

গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার ৫৬ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে ২য় ধাপে ২২ টি ডিজিটাল ল্যাব করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের একই চিত্র, কক্ষের ভিতরে লেখা শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব, ভেতরে কোনো কম্পিউটার নেই। কিছু অব্যবহৃত মালপত্র ও পুরাতন বই-খাতা রাখা আছে। ফলে অযত্নে -অবহেলায় পড়ে থাকা ল্যাবের বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে, আবার কিছু অকেজো হয়েও পড়ে আছে।


এর মধ্য কিছু ব্যবহার হয় শিক্ষকদের ব্যক্তিগত কাজে।এমনকি বাড়ীতে ও নিয়ে রেখেছেন।

এর মধ্যে সাজাইল গোপীমহন উচ্চবিদ্যালয়, ফুকরা এম এম একাডেমি, নড়াইল এম এ উচ্চবিদ্যালয়, গোপীমহন,এম,এন ফুকরা, জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়, বাথামডাঙ্গা উচ্চবিধ্যালয়, রাহুথর উদয়ন বিদ্যাপীঠ,
পারুলিয়া মাদ্রাসা সহ প্রায় সবগুলি প্রতিষ্ঠানে বেহাল দশা।

এর মাঝে দু’একটি প্রতিষ্ঠানের সামান্য ভিন্নতা দেখা যায়।
কম্পিউটারের ক্লাস হয় কি -না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষর্থী অবাক হয়ে জানায়, একদিনও ল্যাবে তাদের ব্যবহারিক ক্লাস হয়নি।তারা জানেনা ল্যাবের কার্যক্রম সম্পর্কে। ব্যাবহার তো দূরের কথা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান- ব্যবহারিক ক্লাস মাঝে মধ্যে হয়, আবার কিছু ল্যাবটপ অকেজো, কিছু চুরি হয়ে গেছে,
কক্ষ সংকট, ইন্টারনেট সমস্যা। শিক্ষার্থীর তুলনায় ল্যাবটপ কম।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা বেগম বলেন – আমি নিজে বিভিন্ন বিদ্যলয় পরিদর্শন করার সময় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কে প্রাধান্য দিয়ে থাকি, কোন ল্যাব যদি সঠিক ভাবে ব্যাবহার না করে তাহলে সেই বিদ্যালয়ে বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অনতিবিলম্বে সব সমস্যা দূর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অভিজ্ঞ মহলের মন্তব্য হলো, সদিচ্ছা থাকলে সীমিত সামর্থ্য দিয়েও ভালো কাজ করা যায়। কম্পিউটার ল্যাবগুলো সচল রেখে আধুনিক ও গুরুত্বপূর্ণ এই প্রযুক্তি শিক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার সাথে ডিজিটাল জ্ঞানে দক্ষ করে তোলা সম্ভব। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে সরকারের যুগোপযোগী এ কার্যক্রমের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর দরিদ্র ছাত্রছাত্রীরা।